পলাশি থেকে ধানমণ্ডি (১ম-৩য় খণ্ড) (হার্ডকভার)
পলাশি থেকে ধানমণ্ডি (১ম-৩য় খণ্ড) (হার্ডকভার)
৳ ১৮০০   ৳ ১৩৫০
২৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ব্রিটিশ শোষণের হাত ধরে কী করে একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় এবং জন্মের মাত্র ২৩ বছরের ভেতর সে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, এর পেছনে কী কী প্রেক্ষাপট ক্রিয়াশীল থাকে, এই গ্রন্থে রয়েছে তার সবিস্তার আলোচনা। ফলত, মুগল শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে বইয়ের আলোচনা শুরু হয় এবং এর সমাপ্তি ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের উদয়ের মধ্য দিয়ে। সিন্ধু অববাহিকার নির্জন বালুকাভূমি থেকে সূচনা হওয়া আলোচনা সমাপ্তি বিন্দুতে পৌঁছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে।

Title : পলাশি থেকে ধানমণ্ডি (১ম-৩য় খণ্ড)
Author : মনযূর আহমাদ
Publisher : চেতনা প্রকাশন
ISBN : 9789849901969
Edition : 1st Published, 2024
Number of Pages : 1180
Country : Bangladesh
Language : Bengali

২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে রহমতের সম্পাদক ছিলেন প্রবল জীবনদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ মুহতারাম মনযূর আহমাদ। মনযূর আহমাদ একজন প্রাজ্ঞ ও প্রথিতযশা সম্পাদক। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি সম্পাদনার কলম দিয়ে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করেছেন। ১৯৯১ থেকে এক দশক জাগো মুজাহিদ-এর নির্বাহী সম্পাদক, দুই হাজারের ডিসেম্বর থেকে দেড় দশক রহমত-এর সম্পাদক—সব মিলিয়ে ১৯৮৫ থেকে শুরু হয়ে চলমান পঁয়ত্রিশ বছরের কর্মজীবনের পঁচিশটি বছরই কাটিয়েছেন এই ডেস্কে! মনযূর আহমাদের জীবন শুরু হয়েছিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানায়, নলবুনিয়ার বৌডুবীতে ১৯৬৫ সালে। শৈশব-কৈশোরে পড়াশোনা করেছেন বৌডুবীতে এবং তারপর পার্শ্ববর্তী বাদুরা মাদরাসায়। পরিণত পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় সমাপ্তি দিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসায়, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে। ১৯৮৫ থেকেই শুরু হয় তার জীবন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ঢাকায় তার প্রথম আগমন ঢালকানগরের ছাপড়া মসজিদে। ভাগ্য পরীক্ষার প্রথমপর্বে এখানে তার হাত ধরেন অভিন্ন পথের সহযাত্রী মরহুম মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। এখান থেকে তিনি বাংলাদেশের ইসলামি আধুনিক রেনেসাঁর অগ্রদূত মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের একান্ত সান্নিধ্য অর্জন করেন এবং যুগের কিংবদন্তি অধ্যাপক আখতার ফারূকের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে কলমচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সেই কলম শানিত হয় অধ্যাপক আখতার ফারূকের সুদীর্ঘ সংস্পর্শে। তার লেখালেখির প্রথম কীর্তি বিখ্যাত তাফসিরে ইবনে কাসিরের আংশিক অনুবাদ। এরপর চলতে থাকে কলম, অনবরত, আজ পর্যন্ত। তার ইদানীংকালের কীর্তি হল বিখ্যাত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ রহমাতুল্লাহিল ওয়াসিয়াহ-এর অনুবাদ। এর মাঝে তিনি লিখেছেন অনেক—অনুবাদ, ইতিহাস, প্রবন্ধ। সেসবের কিছু প্রকাশিত, কিছু প্রকাশিতব্য। কিছু নামে, কিছু বেনামে। তবে এসব কীর্তির চেয়ে তার বড়ো পরিচয়—তিনি একজন সফল সম্পাদক। অন্তরালোকসম্পন্ন সম্পাদক। শুধু পত্রিকারই নন, প্রতিষ্ঠিত অনেক তরুণ লেখকের জীবনেরও সম্পাদক তিনি। সেক্ষেত্রে একজন পিতৃসত্তাবান সম্পাদক হিসেবেই তিনি তাঁর পরিচয় উজ্জ্বল করেছেন। যার স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত সকল লেখক তাদের নৈকষ্য আড্ডায় খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে গর্বভরেই দিয়ে থাকেন। মনযূর আহমাদকে সর্ববিচারে বলা যায় চেতনা ও শিল্পমগ্ন তারুণ্যের মুখপাত্র। জীবনের নানা ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি একজন মজলিশি মানুষ। তার মজলিশি স্বভাবে রয়েছে রসালাপ, রয়েছে তিক্ত তুখোড় বাস্তবতায় অনায়াস সমালোচনার শিল্প। জীবনের বেলাভূমিতে তিনি এখন বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার পটভূমিতে দাঁড়িয়ে এক ধরনের অতিন্দ্রিয় সময় কাটাচ্ছেন—যা তার কাছে গেলে, একটু বসলে, খানিক আলাপ করলে বুঝা যায়। আল্লাহ তাকে কবুল করুন। তার সকল কীর্তি ও প্রচেষ্টা কবুল করুন। জীবনকে তার জন্য সহজ করে দিন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]